নিহত মিলন ওই এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে “টাইগার মিলন” নামে পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিলন ও তার সৎ ছেলে শামীম (২১)-এর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম লাঠি দিয়ে মিলনের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কাহালু থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযুক্ত সৎ ছেলে শামীমকে কাহালুর বাবু বাড়ি এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিতাই চন্দ্র সরকার বলেন,
“ঘটনার পরপরই ঘাতক শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কী কারণে পিতাকে হত্যা করেছে—তা এখনো স্পষ্ট নয়।”
পুলিশ জানায়, নিহত মিলন একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। প্রায় ৭–৮ দিন আগে তিনি বগুড়া জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। মুক্তির পর থেকেই পারিবারিক বিষয়ে তার সঙ্গে সৎ ছেলের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক ঝামেলা ও আর্থিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। বৃহস্পতিবার সেই বিরোধই রক্তাক্ত পরিণতি ডেকে আনে।
ঘটনার পর এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।