আমান এই নারীকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ফলস্বরূপ, এই নারী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের কাছে বিচার চেয়েছে। ইলিয়াস হোসেন এই বিষয়টা নিয়ে একটা ভিডিও ছেড়েছে আজকে। ভিডিওতে ইলিয়াস হোসেনের ধৈর্য্যচুত্যি লক্ষণীয়।
তবে, মামলাটা যে মিথ্যা সেটা কথোপকথন থেকেই মোটামুটি স্পষ্ট।
প্রথমত, ঐ নারী যে তারিখে ধর্ষণ হয়েছে দেখিয়েছে, সেই তারিখে আমান রাকসু নির্বাচনের সাংগঠনিক দায়িত্বে রাজশাহী ছিলো। পর্যাপ্ত ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ আছে।
দ্বিতীয়ত, ঐ নারী দাবি করেছে যে তার মামলাটি থানায় না নেওয়ায়, সে আদালতে মামলা করেছে। সাংবাদিক ইলিয়াস জিজ্ঞেস করেছেন, আপনি কবে থানায় গিয়েছিলেন? মেয়েটি উত্তরে বলেছে প্রায় দুই মাস আগে। অথচ, ঘটনার তারিখ দেখানো মাত্র এক মাস আগের।
তৃতীয়ত, আমি নিজে মামলার ফাইলিং ল’ইয়ার এড. রিপন মিয়ার সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, এ মামলার কিছুই তিনি লিখেন নাই। শুধু সাইন করেছেন ফাইলিং ল’য়ার হিসাবে। মামলা ড্রাফট করেছে এড. রানা আহমেদ শান্ত।
এড. রানা আহমেদ শান্তর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি এ মামলা ড্রাফটও করেন নাই, ফাইলও করেন নাই। তবে, বাদি পলি আক্তার তার কাছে এসেছিলো, তিনি যখন বুঝতে পেরেছেন যে, মামলাটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণিত, তখন তিনি তা ফাইল করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
থানায় কথা বলে জানা গেছে যে, পলি আক্তার এর আগেও তার প্রাক্তন স্বামীসহ অনেকের বিরুদ্ধেই এরকম অভিযোগ করেছেন। হেবিচুয়েট।
আমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তার আরও বহু অকাট্য প্রমান মামলার বডিতেই আছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত চেপে গেলাম। কিছু অডিও হাতে এসেছে।
বহুদিন আগে শুনেছিলাম, দোযগের সীমানায় উঁচু উঁচু প্রাচীর থাকবে। তবে, বাঙালিদের যে দোযগে রাখা হবে সেখানে কোনো প্রাচীর থাকবে না। কারণ, এক বাঙালি যখনই প্রাচীর বেয়ে কতোদূর উঠবে, তখনই অন্য বাঙালিরা তার পা টেনে তাকে দোযগে নামায় আনবে।
খোদা দলের অভ্যন্তরীণ সব দোযগবাসীকে হেদায়েত দান করুক। আমীন।
কপি: ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট ঢালী।
আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ।